দক্ষিণ সুরমার লালাবাজারে সন্ত্রাসী হামলায় মো. আজির মিয়া (৪৫) নামের এক ফার্মেসী ব্যবসায়ী নিহত হয়েছে। শুক্রবার রাত সাড়ে দশটার দিকে লালাবাজার ব্রিজের উপর হামলার শিকার হন তিনি।
বাজারের প্রথম গলির শাহজালাল মেডিকেল হলের সত্ত্বাধিকারী আজির মিয়া ওই সময় ফার্মেসী বন্ধ করে বাড়িতে ফিরছিলেন। তিনি বিশ্বনাথ উপজেলার টেংরা গ্রামের মৃত মফসসর আলীর ছেলে।
এ ঘটনার প্রতিবাদে স্থানীয় ব্যবসায়ী ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে। প্রায় তিন ঘন্টা অবরোধ চলার পর রাত পৌনে ২টার দিকে পুলিশের আশ্বাসের ভিত্তিতে তারা অবরোধ তুলে নেয়।
স্থানীয়রা জানান, আজির উদ্দিনের ফার্মেসীতে প্রাকটিস করতেন ডায়েবেটিকস বিশেষজ্ঞ মেডিসিন বিভাগের ডাক্তার নাদির হোসেন চৌধুরী। গত বুধবার রাতে তার প্রাইভেট কার স্থানীয় জুনাব আলী রাইস মিলের সামনে পার্কি করে চেম্বারে আসেন।
এসময় ভরাউটা গ্রামের আল ইছলাহ নেতা আজাদ তার প্রাইভেট কার দিয়ে ডাক্তার নাদিমের কারের পেছনে থেকে ইচ্ছাকৃতভাবে ধাক্কা দেন। এতে নাদিমের কার অনেক ক্ষতিগ্রস্থ হয়। এনিয়ে আজির উদ্দিনের সাথে আজাদের বাকবিতন্ডার সৃষ্ঠি হয়েছিলো।
পরে এলাকার মুরব্বিসহ অলংকারি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নাজমুল ইসলাম রুহেল আগামী রোববার বিষয়টি দেখে দেয়ার তারিখ নির্ধারণ করেন।
শুক্রবার রাতে ফার্মেসী বন্ধ করে বাড়ী যাওয়ার পথে লালাবাজার সেতুতে যাওয়া মাত্রই আজাদ, তার ভাই ছাত্রলীগ নেতা রিয়াজ, সহযোগী সাইফুলসহ ১৫/২০ জন লোক আজির উদ্দিনের পথরোধ করে স্টিলের রড দিয়ে এলোপাতাড়ি পিঠিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে স্থান ত্যাগ করে। এসময় তার কাছে থাকা নগদ টাকাও ছিনিয়ে নেয় হামলাকারীরা।
পরে স্থানীয় ব্যবসায়ী খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে আজির উদ্দিনকে উদ্ধার করলেও এর আগেই তার মৃত্যু হয়ে যায়।
এ ঘটনার প্রতিবাদে ব্যবসায়ী সড়ক অবরোধ করে রাখেন। খবর পেয়ে মহানগর পুলিশের ডিসি (দক্ষিণ) বাসুদেব বণিকের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারের আশ্বাস দিলে পরে তারা অবরোধ তুলে নেন।
সিলেট মহানগর পুলিশের দক্ষিণের ডিসি বাসুদেব বণিক সিলেটভিউকে বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসেছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। আসামীদের ধরতে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে। এছাড়া মামলা দায়ের হওয়ার পর পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।