বিএনপির সাবেক কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক নিখোঁজ ইলিয়াস আলীকে বাদ দিয়েই ঘোষণা করা হয়েছে কেন্দ্রীয় কমিটি। এ নিয়ে তার অনুসারীদের মধ্যে হতাশা ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। বিরূপ প্রভাব পড়ার আশংকা দেখা দিয়েছে সিলেট বিএনপির তৃণমূল নেতাকর্মীদের মধ্যে।
যদিও কমিটিতে ইলিয়াসপত্নী তাহসিনা রুশদী লুনাকে চেয়ারপার্সনের উপেদেষ্টা করা হয়েছে। তৃণমূল নেতাকর্মীদের দাবি ‘ইলিয়াস’ নামটিই একটা শক্তি। তাকে বাদ দেয়া দলের জন্য অশুভ সংকেত।
ইলিয়াস মুক্তি ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক ও ছাত্রদলের সাবেক কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি আব্দুল আহাদ খান জামাল ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস ইলিয়াস আলী এখনো জীবিত আছেন। তিনি সরকারের গুম নামক কারাগারে বন্দি রয়েছেন। শিগগিরই আমরা তাকে আমাদের মাঝে ফেরত পাবো। কিন্তু কমিটিতে তাকে না রাখা দু:খজনক। এটা কোন ভাবেই মেনে নেয়া যায় না। এ নিয়ে তৃণমূলে হতাশা ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
এদিকে, সিলেটের আলোচিত বিএনপি নেতা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদিরকেও গুরুত্বপূর্ণ পদ দেয়া হয়নি। এ নিয়েও তার অনুসারীদের মধ্যে হতাশা বিরাজ করছে। খন্দকার মুক্তাদির গত কয়েক বছর থেকে সিলেট সদর আসনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়ে বিভিন্ন কর্মসূচী পালন করে আসছেন। ঘোষিত কমিটিতে তাকে রাখা হয়েছে ব্যাংকিং ও রাজস্ব বিষয়ক সহ সম্পাদক হিসেবে। এতে চরম ক্ষুব্ধ সিলেট জেলা ও মহানগর ছাত্রদল। তাদের দাবি মুক্তাদিরকে মূল্যায়ন করা হয়নি।
ছাত্রদলের সাবেক কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান পাপলু বলেন, সিলেট সদর আসনে আগামী দিনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে খন্দকার মুক্তাদিরকে নিয়ে তৃণমূল নেতাকর্মীরা দীর্ঘদিন থেকে কাজ করে যাচ্ছেন। কোন পদ পদবি ছাড়া দীর্ঘদিন থেকে মুক্তাদির দলের জন্য ত্যাগ স্বীকার করে যাচ্ছেন। কিন্তু ঘোষিত কেন্দ্রীয় কমিটিতে সম্মানজনক পদে না দেয়ায় তৃণমূল নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ ও হতাশা বিরাজ করছে। মুক্তাদিরকে যথাযথ মূল্যায়ন না করায় তৃণমূলে এর বিরূপ প্রভাব পড়বে।
শনিবার দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপি কার্যালয়ে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এক সংবাদ সম্মেলনে কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষণা করেন। সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির ১৯ সদস্যের স্থায়ী কমিটি, ৭৩ জনের উপদেষ্টা কমিটি এবং ৩৫ জনের ভাইস চেয়ারম্যান কমিটি ঘোষণা করা হয়।