লামাকাজীতে ‘দোকানের সামনে সিএনজি অটোরিকশা রাখার জের ধরে’ গত ১৯ সেপ্টেম্বর বিশ্বনাথ ও সিলেট সদর উপজেলার লোকজনদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনাটি আপোস-মিমাংশায় নিষ্পত্তি লক্ষ্যে এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার রাতে সাবেক সংসদ সদস্য ও সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব শফিকুর রহমান চৌধুরীর টিলাগড়স্থ বাস ভবনে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত বৈঠকে আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর সোমবার সকাল ১০ টায় লামাকাজী বাজারে উভয় উপজেলাবাসীকে নিয়ে এক শালিশ বৈঠকের সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ছাতক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ওলিউর রহমান চৌধুরী বকুল।
শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টায় সাবেক সংসদ সদস্য ও সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব শফিকুর রহমান চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সিলেট সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আশফাক আহমদ, ছাতক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ওলিউর রহমান চৌধুরী বকুল, বিশ্বনাথ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সুহেল আহমদ চৌধুরী, গোবিন্দগঞ্জ ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ সুজাত আলী রফিক, বিশ্বনাথ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বাবুল আখতার, লামাকাজী ইউপি চেয়ারম্যান কবির হোসেন ধলা মিয়া, দৌলতপুর ইউপি চেয়ারম্যান আমির আলী, অলংকারী ইউপি চেয়ারম্যান নাজমুল ইসলাম রুহেল, রামপাশা ইউপি চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আলমগীর, খাজাঞ্চী ইউপি চেয়ারম্যান তালুকদার গিয়াস উদ্দিন, মোগলগাঁও ইউপি’র সাবেক চেয়ারম্যান শাহজামাল নুরুল হুদা, সামছুল ইসলাম টুনু, শালিশ ব্যক্তিত্ব মাস্টার আপ্তাব উদ্দিন, আওয়ামী লীগ নেতা ডাঃ শাহনুর হোসাইন, সিরাজুল ইসলাম সুরুজ প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, গত ১৯ সেপ্টেম্বর লামাকাজী এম.এ.খান সেতুর ওপরে ২ ঘন্টাব্যাপী ‘বিশ্বনাথ ও সিলেট সদর উপজেলাবাসী’র সংঘর্ষের ঘটনায় ১৫ জন গুলিবিদ্ধ ও পুলিশসহ প্রায় শতাধিক ব্যক্তি আহত হন। সংঘর্ষ চলাকালে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন আনতে পুলিশ ২০০ রাউন্ড গুলি ও ৩৪ টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে। এসময় একাধিক যানবাহন ভাংচুর করা হয়। ২ ঘন্টাব্যাপী উভয় পক্ষের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া চলাকালে প্রায় ৩ ঘন্টা সিলেট-সুনামগঞ্জ মহাসড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিল। সংঘর্ষের ঘটনায় ওই রাতেই ৫৫১ জনকে আসামী করে বিশ্বনাথ থানায় পুলিশ এসল্ট মামলা দায়ের করা হয়। তবে ঘটনা পর থেকে বিষয়টি আপোস-মিমাংশায় নিষ্পত্তি করার জন্য মুরব্বীদের সাথে নিয়ে চেষ্ঠা চালিয়ে যান সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ওলিউর রহমান চৌধুরী বকুল।