Thursday, April 14, 2016

পারিবারিক দ্বন্দ্বে গায়ে আগুন দিল গৃহবধূ

ঢাকা : রাজধানীর তুরাগে পারিবারিক কলহের জের ধরে সালমা আক্তার (৩০) নামে এক গৃহবধূ শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন লাগিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন। বর্তমানে তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন আছেন। ওই গৃহবধূ তুরাগ থানাধীন রানাভোলা এলাকার জাফর মিয়ার বাড়ির ভাড়াটিয়া মামুনের স্ত্রী।

বুধবার (১৩ এপ্রিল) গভীর রাতে তুরাগ থানাধীন রানাভোলা জাফরের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটলেও বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বিষয়টি নিশ্চিত করে।

মামুনের বড় ভাই ইমন সরকার বাংলামেইলকে জানান, বুধবার সন্ধ্যায় মামুন তার স্ত্রী সালমার কাছে নেশা করার জন্য টাকা চায়। কিন্তু সালমা টাকা না দিলে সে তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও মারধর করে। পরবর্তীতে গভীর রাতে সালমা বাথরুমে ঢুকে গায়ে কেরোসিন তেল ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেয়। সাথে সাথে তাকে উদ্ধার করে নিকটস্থ মুনসুর আলী মেডিকেল কলেজ থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপালে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করানো হয়। গৃহবধূর ৫ম শ্রেণি পড়ুয়া শুভ (১১) ও মুনিয়া (০৫) নামে দুই সন্তান রয়েছে।

গৃহবধূর বড় ভাই মনির বাংলামেইলকে জানান, দীর্ঘদিন যাবত মামুন তার বউ সালমাকে নির্যাতন করে আসছিল। ইতোপূর্বে ঘরে আগুন লাগিয়েও দিয়েছিল। এসব ঘটনায় থানায় একটি জিডিও (সাধারণ ডায়েরি) করা হয়েছিল।

তিনি অভিযোগ করে বাংলামেইলকে আরো জানান, গতকাল (বুধবার) নেশা করার জন্য টাকা চাইলে সালমা না দেয়ায় তাকে পুড়িয়ে মারার জন্য চেষ্টা করে মামুন।

এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (ওসি) মোজাম্মেল হক বাংলামেইলকে জানান, সালমার শরীরের শতকরা ৫২ ভাগই পুড়ে গেছে। বর্তমানে তিনি ঢামেক এর বার্ন ইউনিটি চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

তাছাড়াও তিনি আরো জানান, কেরোসিনের আগুনে তার মাথা, পেট, পিঠ ও দুই হাতের বেশ কিছু অংশ পুড়ে গেছে।

মূলপাতা

আন্তর্জাতিক

এক্সক্লুসিভ