‘জলপরী’ রেষ্টুরেন্টে অবৈধ রমরমা ব্যবসা, বিছনাকান্দি জিরো পয়েন্ট |
বাংলাদেশ-ভারতের সীমানা রেখার ভিতরে অবৈধভাবে গড়ে উঠেছে একটি রেষ্টুরেন্ট। পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে মালিক পক্ষ ওই রেষ্টুরেন্টের নাম দিয়েছেন জলপরী।
সম্প্রতি মিডিয়ার কল্যাণে আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে স্থান পাওয়া বিছনাকন্দি পর্যটনকে করে স্থাপিত হওয়া ওই জলপরী রেষ্টুরেন্ট এখন নানা অপকর্মের সাথে জড়িত হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
২২ জুলাই শুক্রবার বিকাল ৩টায় সরেজমিন পরিদর্শনকালে দেখা যায় বাংলাদেশ-ভারত সীমা রেখার ৫০ গজের ভিতরেই এ রেষ্টুরেন্টের অবস্থান। দেশ বিদেশ থেকে পর্যটন কেন্দ্রে আসা সহ¯্রাধিক পর্যটকের খাবারের একমাত্র ভরসা স্থলই হচ্ছে এখন এ রেষ্টুরেন্ট।
ফলে পর্যটকদের স্বল্প মূল্যের খাবার পরিবেশনা করে মালিক পক্ষ হাতিয়ে নিচ্ছে জন প্রতি ২০০/৩০০ টাকা। উপায়ান্তর না দেখে ক্ষুধার তাড়নায় পর্যটকরা নি¤œ মানের ওই খাবার খেয়ে অতিরিক্ত টাকা ব্যয় করছেন। আবার এ রেষ্টুরেন্টে খাবার খেয়ে প্রতিদিন অসুস্থ হচ্ছেন দুর দুরান্ত থেকে আসা অনেক পর্যটক। এ নিয়ে মাথা ব্যথা নেই স্থানীয় প্রশাসনেরও।
পরিদর্শনকালে বগাইয়া গ্রামের এ রেষ্টুরেন্টের মালিক আনোয়ার হোসেন প্রতিবেদককে জানান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিরো পয়েন্টের ভিতরে রেষ্টুরেন্টের ব্যবসার অনুমতি তাকে দিয়েছে।
তবে লিখিত অনুমতি পত্র তার নিকট চাইলে তিনি দেখাতে পারেননি।
এ সময় নাম প্রকাশ না করার শর্তে বেশ কয়েকজন স্থানীয় লোক বলেন, এ রেষ্টুরেন্টের মালিক পক্ষ দিনের বেলায় অবৈধভাবে পর্যটকদের নিকট থেকে প্রতি দিন হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। আর রাতের বেলায় এ রেষ্টুরেন্টে নিয়মিত মদ ও জোয়ার জমজমাট আসর বসে।
এ বিষয়ে রেষ্টুরেন্টের মালিক আনোয়ার হোসেন বলেন, তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে নিয়মিত বেচা কেনা দেখে একটি মহল ঈর্ষান্বিত হয়ে এ মন্তব্য করেছেন। তবে তার এ রেষ্টুরেন্ট জিরো পয়েন্টে রয়েছে বলে কথার ফাঁকে স্বীকার করেন।
এ ব্যাপারে গোয়াইনঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ (ভারপ্রাপ্ত) মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন সরদার বলেন, এ উপজেলার প্রতিটি পর্যটন কেন্দ্র নিরাপত্তায় আমরা সচেষ্ট রয়েছি। তবে পর্যটন কেন্দ্রের পার্শ্বে গড়ে উঠা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মহোদয় দেখে থাকেন।
গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) আশ্রাফ আহমেদ রাসেল বলেন, দুই দেশের সীমা রেখা (জিরো পয়েন্ট)’র ১৫০ গজের ভিতরে কোন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান চালু করতে অনুমতি দেওয়ার ক্ষমতা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নেই। জলপরী রেষ্টুরেন্টকে ওই স্থানে অনুমতি দেওয়ার প্রশ্নই আসে না।