Saturday, September 3, 2016

বাড়ি ফেরার ব্যাকুলতা (ভিডিও)


মা, মাটি ও মাতৃভূমি তথা জন্মস্থানের টান শাশ্বত। শুধু ঈদ-পালা-পার্বণেই নয় বরং স্নেহ-মায়া-মমতা-আবেগ-অনুভূতিতে ভরা বাঙালি হূদয় সর্বদাই ঘরমুখী। ফলে বাড়ি ফেরার ব্যাকুলতা তাদের মধ্যে সর্বদাই বিরাজমান। রবীন্দ্রনাথ তা অবলোকন করে বড় আক্ষেপ করে বলেছিলেন, 'সাত কোটি বাঙালিরে, হে মুগ্ধ জননী; রেখেছ বাঙালি করে, মানুষ করনি'। কিন্তু সম্পূর্ণ সফল না হলেও, জীবন-জীবিকা এবং অনাগত ও আগত ভবিষ্যত্ বংশধরদের মানুষ করার কথা চিন্তা করে কঠিন বাস্তবতার মুখোমুখি হয়ে বাঙালি রবীন্দ্রনাথের সেই অপবাদ ঘুচাতে সময়ে ঠিকই বাধ্য হয়। তাই ঈদ পূজা-পালা-পার্বণ উত্সব চক্রাকারে এসে আবার বাঙালির সুপ্ত মায়া-মমতাকে উসকে দিয়ে ঘরমুখী করে তোলে। ফলে নাড়ির টানে আশৈশব কাটানো স্বজন-বন্ধু, আত্মীয়-পরিজনের সাথে মিলনের জন্য গ্রামের বাড়িতে শত দুর্ভোগ সত্ত্বেও যাওয়ার জন্য মানুষ উতলা হয়ে ওঠে। ভবিষ্যত্ জীবন গড়ার ও বাস্তব জীবন-জীবিকার তাগিদে মানুষ বাস্তুভিটা ত্যাগে বাধ্য হয়ে নগর এবং শহরে আসে সত্য; এমনকি কঠিন বাস্তবতার কষাঘাতে জর্জরিত হয়ে সাময়িকভাবে জন্মস্থান তথা বাস্তুভিটার কথা ভুলে থাকার চেষ্টাও করে কিন্তু কোন অবস্থাতেই মানুষের স্মৃতিপট থেকে বাস্তুভিটার অম্লান স্মৃতি হারিয়ে যায় না। যেমন হারিয়ে যায়নি মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের ক্ষেত্রে। তিনি অম্লান বদনে বলেছিলেন "হে বঙ্গ, ভাণ্ডারে তব বিবিধ রতন...."। আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে যত্রতত্র অসহনীয় যানজট, শহরের নব্য সৃষ্ট ফ্লাইওভার তৈরির কারণে সংশ্লিষ্ট রাস্তাঘাটের দৈন্যদশার কবলে পড়ে চরম ভোগান্তি সহ্য করা, বিভিন্ন রাস্তাঘাটের সংস্কার কাজের ধীর গতির কারণে অনাকাঙ্ক্ষিত ও বিড়ম্বিত দীর্ঘ সময়ের ব্যবধানে বাড়ি পৌঁছা, যানবাহনের কৃত্রিম বা অকৃত্রিম অপ্রতুলতা হেতু দ্বিগুণ-তিনগুণ যাত্রীভাড়ার মাশুল গোনাসহ বাড়ি যাওয়ার কোন দুর্ভোগ এবং বিড়ম্বনাই বাঙালিকে রুখতে পারে না তার গন্তব্যে পৌঁছা থেকে। অবশ্য সরকারের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং মাঝে মাঝে সেনাবাহিনী ঈদ উপলক্ষে পরিবহন খাতের বিশৃঙ্খলা ঠেকাতে, নির্ধারিত মূল্য থেকে অতিরিক্ত অসহনীয় যাত্রীভাড়া এবং অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই রোধে কালেভদ্রে মাঠে নামেন সত্য কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয় না। সেনাবাহিনীকে দেখা গেছে মাঝপথে গাড়ি থামিয়ে যাত্রীদের জিজ্ঞাসা করেন, আপনাদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া নেয়া হয়েছে কী? যাত্রী সাধারণ নির্দিষ্ট বাসস্ট্যান্ডে অতিরিক্ত ভাড়া পরিশোধসহ রীতিমত বহুমুখী মল্লযুদ্ধ ও শারীরিক কসরত করে গাড়িতে স্থান পেয়ে মাঝপথে সেনাবাহিনীর এই জিজ্ঞাসাকে মায়াকান্না হিসাবে ধরে নিয়ে না-বোধক জবাব দিয়ে চুপ থাকে অতিরিক্ত ঝামেলা এড়াতে। সর্বোপরি নিষ্প্রাণ যান্ত্রিকতায় পিষ্ট, শব্দদূষণ, বায়ুদূষণ, পরিবেশদূষণ, শহুরে জীবনের ন্যূনতম নাগরিক অধিকার থেকে বঞ্চিত মানুষের পুঞ্জিভূত ক্ষোভ, দুঃখ, দুর্দশা, ক্লান্তি ও অবসাদ থেকে সাময়িকভাবে হলেও মুক্তির প্রবল আকাঙ্ক্ষা চরিতার্থ করার জন্য মানুষ পাহাড়সম প্রবল বাধা-বিপত্তি ডিঙিয়ে গ্রাম বাংলার দিকে ছুটে যেতে ব্যাকুল থাকে। ফলে যাত্রাপথের বিড়ম্বনাকে মানুষ তুচ্ছজ্ঞান মনে করে আপনজনদের সাথে মিলনের আনন্দে বিভোর থাকার কারণে বিপদসঙ্কুল যাত্রাপথে ঝুঁকিপূর্ণ অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই লঞ্চ, ট্রেন, বাসে গ্রামের বাড়ির উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেয়। বাড়ি পৌঁছার পর আপনজনদের দেখে ও তাদের সান্নিধ্যে আসার পর ঐ বিড়ম্বনা মানুষের চরম ও পরম আনন্দে রূপান্তরিত হয়। তাছাড়া যে কোন প্রকার ট্র্যাজেডির মুখোমুখি হলেও মানুষ তার আশৈশবের বাস্তুভিটার দিকেই ছুটে যায়। যেমনটি দেখা গিয়েছিল আমাদের স্বাধীনতাযুদ্ধের সময়। সাম্প্রতিককালে দেখা গিয়েছে ইরাকের সাদ্দাম হোসেন এবং লিবিয়ার গাদ্দাফির ক্ষেত্রে। মূলত মায়ের ডাকে সাড়া দিয়ে খরস্রোতা নদীও রাতের আঁধারে পার হওয়া ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের উত্তরসূরি হিসেবে কে রোখে বীর বাঙালিকে? 
ভুঁইয়া কিসলু বেগমগঞ্জী
৫-বিসিসি রোড, নবাবপুর, ওয়ারী, ঢাকা ১২০৩


আমাদের যাদের স্বজনরা গ্রামের বাড়িতে থাকে তাদের মনটা সবসময় ব্যাকুল হয়ে থাকে স্বজনদের সঙ্গে দেখা করার জন্য। বিশেষ করে, বিশেষ বিশেষ দিনগুলোতে স্বজনদের সঙ্গে কাটানোর ভীষণ ইচ্ছে করে। কিন্তু শহরের যান্ত্রিক জীবনে তা হয়ে ওঠে না। হয়তো কখনো সময় থাকে কিন্তু আর্থিক সমস্যার কারণে যাওয়া যায় না। আবার কখনো টাকা থাকে কিন্তু সময় স্বল্পতার কারণে যাওয়া যায় না। যার ফলে সচরাচর বাড়ি যাওয়া হয় না। তাই দুই ঈদে বাড়ি যাওয়ার জন্য মনটা ব্যাকুল হয়ে থাকে— কখন ছুটে যাবো স্বজনদের কাছে। প্রথম রোজা থেকেই ছটফট করতে থাকে। কিন্তু দুঃখের বিষয় মাঝে মাঝে তাও যেতে পারি না। কখনো চাকরির ক্ষেত্রে ছুটি স্বল্পতা, পরিবহন সেক্টরের অরাজকতা এবং রাস্তা-ঘাটের দুর্ভোগ দেখে যেতে ইচ্ছে করে না। এভাবেই পাওয়া না পাওয়ার মধ্যে কেটে যাচ্ছে দিনগুলো।
জসিম মজুমদার
পুরানা পল্টন লেন, ঢাকা


দুয়ারে দাঁড়িয়ে আঁচলে চোখ মুছে যে প্রিয়জনকে একদিন কর্মস্থলে পাঠিয়েছিলো, আজ সেই অতিআপনজন নাড়ির টানে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করতে বাড়ি ফিরছে। চাতকের মতো চেয়ে থাকার আকুতি যেন শেষ হচ্ছে। খেয়া নৌকো কপোতাক্ষের মাঝপথে, ঘাটে অপেক্ষমাণ ছোট ভাইবোন, ভাগ্না-ভাগ্নি চিত্কার করে বলছে, ভাইয়া আসছে, মামা আসছে—এ অন্তর্ভেদি চিত্কারে আগন্ু্তকের হূদয়ে নদীর ঢেউ তুলেদিচ্ছে। মোবাইলে ছোট মেয়ে বলছে, আব্বু তুমি কোথায়? এই যে মা, আর ঘণ্টাখানেকের মধ্যে এসে যাবার বার্তা পেয়ে মেয়েটির আনন্দ যেন হাতে চাঁদ পাইয়ে দিয়েছে। প্রতিবেশী মামদো চাচার ছেলেটি লাল পিরান হাতে পেয়ে ঊর্ধ্বশ্বাসে দৌড়ে পিরানপ্রাপ্তির গগনবিদারী উল্লাস ঈদ নামাজের সুখানুভূতিকেও ছাড়িয়ে যায়। এই সেই চির চেনা আত্মিক টান, স্বজনদের মাঝে উপস্থিত হবার দায়িত্ব-কর্তব্য, তাই সকল বাধা-বিপত্তি উপেক্ষা করে কর্মস্থলকে পিছনে ফেলে, নাড়ির টানে সম্মুখপানে এগিয়ে যাচ্ছে পদে পদে সকল বাধা অতিক্রম করে। বাড়ি ফেরার এই ব্যাকুলতা রুখবে সাধ্য কার? তবুও অলক্ষ্যে বিধাতা হাসেন, রাষ্ট্রীয় অব্যবস্থাপনার হাল-হকিকত দেখে। যানবাহনের অপ্রতুলতা, রাস্তা-ঘাটের শ্রীহীন অবস্থা, দুর্বার পথযাত্রাকে বাধাগ্রস্ত করে পদে পদে। তথাপিও আপনজনদের সান্নিধ্য, সবাইকে নিয়ে ঈদ আনন্দ উপভোগের ঐকান্তিক ইচ্ছাশক্তিই শেষ ভরসা মনে করে বন্ধুরপথ অতিক্রম করাও উপভোগ্য হয়ে ওঠে। প্রাপ্তি একটাই সকল কায়-ক্লেশ ভুলে ঈদের আনন্দ সকলের সাথে সমভাবে বিলিয়ে দেয়া। হূদয়ের ব্যাকুলতাকে আসান করা।
মুরাদ হোসেন
মধুখালী, ঝিকরগাছা, যশোর


ইটের মাঝে ইট, মাঝে মানুষ কীট। নেইকো প্রীতি আশা, নেইকো ভালোবাসা। ইট-পাথরের এই দালান কোঠা থেকে বেরিয়ে কিছুদিনের জন্য হলেও মুক্ত বাতাস, নির্মল বায়ু। প্রকৃতি সবকিছুর কাছে মন ব্যাকুল হয়ে পড়ে ঈদের আনন্দে। আত্মীয়স্বজন পরম কাছের মানুষদের ১ দিনের জন্য হলেও সমান ভাগে ভাগ করে নেয় এই ঈদে।
নাসরিন সুলতানা
সানি সাইড, নিউইয়র্ক


আমরা জানি মানুষ একা থাকতে পারে না তাই সে সঙ্গ চায়। ঠিক তদ্রূপ মানুষ যেখানে যে অবস্থানেই থাকুক না কেন। রমজানের শেষে ঈদে তার ঠিকানায় ফিরতে চায় আপনজনের কাছে। যেখানে তার হূদয়ের বেদনা টুকু অনায়াসে প্রকাশ করতে পারে। সেই জন্য ছুটে চলে অবিরাম—যেতে হবে তাকে।
মোস্তাফিজুর রহমান মিঠু
মহাখালী, ঢাকা


মানুষ তার জীবিকা অর্জনের জন্য কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা গ্রামে বা শহরেই বসবাস করে। যেখানেই থাকুক উত্সব পার্বণে পিতামাতা আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধবের মিলিত হয়ে শান্তি বা আনন্দ পায়। মানুষের শিকড় মাতৃভূমির যে কোন স্থানে নাড়ির টানে কষ্ট করে হলেও ঘরে ফিরতে আশা করে। উত্সব পার্বণে যাদের বাড়ি ফেরা সম্ভব হয় তার সার্থক। কারণ আমাদের দেশে যে কোন উত্সবে গাড়ি লঞ্চ, ট্রেন ভাড়া দ্বিগুণ হয়ে যায়। এমনকি টিকেট সংগ্রহ করা কঠিন হয়ে পড়ে। ফলে নিম্ন আয়ের মানুষের বাড়ি ফেরা সম্ভব হয় না। তাই দেশবাসীর বাড়ি ফেরার সুযোগ-সুবিধার জন্য সরকারকে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
আশা এলিজাবেত গোমেজ
লক্ষ্মীবাজার, ঢাকা ১১০০


ঈদের আনন্দে চারদিকে তখন জমজমাট আনন্দে মেতে উঠে তখন প্রাণের টানে মন ছুঁয়ে যায় গ্রামে। যেখানে সবকিছুর স্বস্তির নিঃশ্বাস ও ভালোবাসার অপরূপ দৃশ্য।
মুন্সী মোহাম্মদ ওয়াহীদউল্লাহ
স্টুডিও ফুজিয়া, মিরপুর


ঈদে বাড়ি ফেরা মানেই দীর্ঘ লাইনের টিকেটের অপেক্ষা। বাড়তি দামে টিকেট নিয়ে তবুও যেতে হবে কিছুদিনের জন্য গ্রামের বাড়িতে। বড় আনন্দ ও ভালোবাসার অংশীদার হতে প্রিয় মানুষদের সাথে।
মোহাম্মদ মোজাহারুল ইসলাম
সাভার, ঢাকা


ঈদের ছুটির অপেক্ষায় প্রহর গুনে বাড়ি যাবেন বলে কর্মব্যস্ত মানুষের গ্রামে যাবার জন্য মন প্রাণ আনচান করে। সবাইকে নিয়ে ঈদ কী আনন্দের তা বলা মুশকিল।
ফারুক আলম
মালিবাগ, ঢাকা


ঈদের সময় মহাসড়কে যানজট, দুর্ঘটনা ও পথে নানা ভোগান্তির চিন্তা-ভাবনা করে রেলের টিকিটের প্রতি নগরবাসীর আগ্রহ থাকে বেশি। কিন্তু এবারও একই দৃশ্য দেখা যাচ্ছে সেই রেলের টিকিটে। সবকিছু মিলিয়ে বাড়ি তাদের যেতে হবে ঈদের আনন্দ শেয়ার করতে প্রিয়জনদের সাথে।
সোহাগ
ভাগলপুর লেন, নবাবগঞ্জলেন, ঢাকা


ঈদ মানেই আনন্দ। আর এ আনন্দের মাত্রা বেড়ে যায় যদি স্বজনদের সাথে ঈদ করা যায়। সেজন্য প্রতি ঈদে গ্রামাঞ্চলে বা এক শহর থেকে অন্য শহরে ছুটে যায় লাখ লাখ মানুষ। তবে এ আনন্দ ম্লান হয়ে যায় যখন দেখা যায় ট্রেন, বাস বা লঞ্চের টিকেট ক্রয় নিয়ে যাত্রীদের ভোগান্তির সীমা থাকে না।
সৈয়দা পারভীন সুলতানা
শিলাইদহ


ঈদ উপলক্ষে বাড়ি ফিরতে গিয়ে মানুষ যদি দুর্ভোগ হয়রানি এবং দুর্ঘটনার শিকার হয়, শিকার হয় চাঁদাবাজি ও ছিনতাইয়ের তাহলে তাদের ঈদের আনন্দ মাটি হয়ে যাবে এটাই স্বাভাবিক। তাই গ্রামে ঈদ করতে যাওয়া মানুষের নিরাপত্তা সর্বদাই দরকার।
এস কে মোহাম্মদ রমিজউদ্দিন
প্রশিকা প্রধান কার্যালয়, মিরপুর ২, ঢাকা 


কর্মব্যস্ততার শেষে ১ মাস রোজার পর ঈদের ছুটিতে মন যায় চলে গ্রামের বাড়িতে। যেখানে সবাই আছে। ভাইবোন, বৃদ্ধ বাবা-মা, পাড়া-প্রতিবেশী, আত্মীয়স্বজন, বন্ধু-বান্ধবসহ অনেকে। তাদের মাঝে নিজেকে বিলিয়ে দেয়া কত যে আনন্দ তা বলে বোঝানো যাবে না। হূদয় নিংড়ানো ভালোবাসা সবটুকু যেন তাদের জন্য থাকে।
নীলুফা আক্তার
টোলারবাগ, মিরপুর, ঢাকা


কর্মব্যস্ততার কারণে মানুষ সময় পায় না গ্রামের বাড়িতে যাওয়ার। যখনই বছরে ঈদপর্ব আসে তখন মন ব্যাকুলতায় ভরে ওঠে গ্রামের বাড়িতে যাবার জন্য। শত কষ্ট, যন্ত্রণা, দুর্ভোগ, বাধা-বিপত্তিকে উপেক্ষা করে ছুটে চলে সেই শৈশবের ঠিকানায়। যেখানে মিশে যাচ্ছে আজন্মের ভালোবাসার রং। যে রং আর কোথাও মেশে না। শুধু মেশে এই শৈশবের মাটিতে। তাতে কষ্ট হলেও বড় আনন্দ, ঈদকে সবার মাঝে বিলিয়ে দিতে।
মো. খায়রুল ইসলাম (ফুল)
আরাপপুর, ঝিনাইদহ।


নাড়ির টানে ফিরছে মানুষ বাড়ি। ঘরমুখী মানুষের এখন সর্বত্র উপচেপড়া ভিড়। অনেকেই দীর্ঘ অপেক্ষার পরও লাইনের শেষ প্রান্তে থাকা টিকেট পাচ্ছেন না। এরপরেও বাড়ি তাদের যেতেই হবে প্রিয়জনের সাথে ঈদ করতে।
মো. মারুফ উজ্জামান
মালিবাগ, ঢাকা


ঈদের আনন্দে বাড়ি ফেরা মানুষের বড় দুর্ভোগ ও কষ্টের। শত বাধা-বিপত্তি অতিক্রম করে তবুও যেতে হবে বাড়ি। একদিকে টিকেট থাকলে সীমাবদ্ধ অনেক কাউন্টারে বিক্রির শুরুর এক ঘণ্টার মধ্যে বলা হয়েছে টিকেট শেষ। শেষের দিকে কালোবাজারে বিক্রি করার লক্ষ্যেই এটা করা হয়েছে বলে মন্তব্য ভুক্তভোগীদের। এ সবকে উপেক্ষা করেই বাড়ি ফিরতে হবে প্রিয়জনদের সাথে ঈদ করার জন্য।
হাসান মোহাম্মদ হোসাইন চৌধুরী
কবিরহাট, নোয়াখালী



শত কর্মব্যস্ততার মাঝে ছুটি না পাওয়া, ঈদের ছুটিতে বাড়িতে যাওয়া যে কী আনন্দ তা বুঝিয়ে বলা কঠিন। একমাত্র ঈদে পরিবারের সবার সাথে। বন্ধু-বান্ধব পাড়া-প্রতিবেশী, আত্মীয়স্বজনদের সাথে আনন্দ সুখ-দুঃখ ভাগাভাগি করার যে অনুভূতি তা সত্যি আনন্দের। ঈদের ছুটিতে অল্প সময়ের জন্য বাড়িতে যাওয়াটা যেন এক বছরের আনন্দের সমান। তাই তো দূর-দূরান্ত দেশে বিদেশে থেকে সবাই নাড়ির টানে বাড়িতে আসে।
শহীদুল ইসলাম
গ্রাম: নিশিন্দারা মধ্যপাড়া
জেলা:বগুড়া


ঈদ মানেই আনন্দ, ঈদ মানেই সবার সাথে এক হয়ে মিলে শরিক হওয়া। আর এই আনন্দ থেকে রমজান মাসের শেষের দিকে হৈচৈ পড়ে গ্রামের বাড়িতে যাবার। বহু প্রতীক্ষায় থাকে আত্মীয়স্বজন বন্ধু-বান্ধব মা বাবা আদরের ভাইবোনও। সবার সাথে এক হয়ে মিশে ঈদ হয় এক পরিপূর্ণ দিনের আনন্দ। 
বিপ্লব আলম
উর্দুরোড, লালবাগ ঢাকা


আবহমান কাল থেকে বাংলার সংস্কৃতি প্রকৃতি ও মানব মনে ধর্মীয় উত্সবগুলো একাকার হয়ে আছে। বিশেষ করে ঈদের আগে দেহ-মনের সকল আবেগ উজাড় করে প্রস্তুতি চলে নাড়ির টানে বাপ-দাদার ভিটে মাটিতে পৌঁছার। কিন্তু যাত্রাপথের অশনিসংকেত যানবাহনের টিকেট কোটা প্রথা সারারাত লাইনে দাঁড়িয়ে পরদিন কাউন্টার থেকে টিকেট নেই বাক্য শোনা, ঈদ শেষে কর্মস্থলে ভোগান্তি সবকিছু মিলে কেমন যেন আনন্দঘন মনের কোণে হতাশা বিরাজ করে। সেই সাথে ভেবে কষ্ট পাই দেশের সকল মুসলিম পরিবারের সদস্যরা কি আনন্দময় পরিবেশে ঈদ উদযাপন করার পরিবেশ পাচ্ছে?
সরকার পক্ষরাই এ ক্ষেত্রে কতটুকু আন্তরিক? কেননা এখনো তো গুম হওয়া অনেকেই ফিরে আসেননি পথ চেয়ে থাকা মা-বাবা-স্ত্রী-সন্তানের কাছে। এখনো জেল থেকে ছাড়া পাননি বিনা অপরাধের বন্দীরা। এখনো বিচারের জন্য দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন সন্তানহারা মা, স্বামী, স্ত্রী, পিতাহারা পুত্র-কন্যা। নাড়ির টানে ঘরে ফেরার ব্যাকুলতার সাথে এই কষ্টগুলো আমরা চাপা দিয়ে আর কতকাল ঈদ উদযাপন করবো।
ইবনে মাশফি
গফরগাঁও, ময়মনসিংহ


আজন্ম ও আশৈশব একই তেলে জ্বলে বেড়ে ওঠা মানুষগুলো কর্মক্ষেত্রে অপেক্ষার প্রহর গোনে ঈদের ছুটির জন্য। কারণ মা, মাটি, প্রকৃতি এবং নাড়ির টান সবাইকে জন্মস্থান যা শৈশবে বেড়ে ওঠা গ্রামে, গঞ্জে, শহরে নগরে, বন্দরে টেনে নিয়ে যায়। এটা এক ধরনের হূদয়ঘটিত আত্মিক, মানবিক, সামাজিক আত্মউপলব্ধি বিষয় যা মানুষকে মানুষ হিসেবে তার হূদয়ের উপলব্ধিগুলোকে শাণিত করে। আপনজনকে আরো আপন করে ভাবতে শেখায়। পরিবার, আত্মীয়, সমাজ, প্রকৃতি ও দেশকে নিবিড়ভাবে উপলব্ধিতে আনতে সর্বত্র ভূমিকা রাখে।
নাছির উদ্দীন সিদ্দিকী
৩৬১ খন্দকার রোড, পশ্চিম জুরাইন মাজার শরীফ এলাকা, শ্যামপুর, ঢাকা ১২০৪


আমরা ঢাকাবাসী প্রত্যেক বছর দেখি ঈদের সময় প্রচুর লোক ঢাকা শহর ছেড়ে নিজের গ্রামে চলে যায়। নিজেদের আত্মীয়স্বজনদের সঙ্গে ঈদ-আনন্দ করবার জন্য। আমাদের মহাখালী অঞ্চলে সারাদিনে দু'-চারজন মানুষ আসা যাওয়া করতে দেখা যেতো। কিন্তু এখন মহাখালী যানজটের অঞ্চল। কিন্তু তারপরও আমরা ঢাকাবাসী কষ্ট হলেও তা বরণ করে নিয়েছি।
সৈয়দ হায়দার আলী
মহাখালী, ঢাকা


ধর্মীয় উত্সবের ছুটিকে উপলক্ষ করে যাত্রাপথের আগাম বহু বিড়ম্বনা মাথায় রেখে নাড়ির টানে তথা স্বজন আর বন্ধু-বান্ধবের বাঁধনের কারণে মাত্র কয়েকটি দিনের জন্য লোকজনের যার যার আপন গ্রাম বা শহরে ফিরে যাবার এই যে ব্যাকুলতা, আকুলতা যাই বলি না কেন, এটি আমার মনকে ক্ষণিকের জন্য হলেও খুবই উদ্বেলিত করে এই ভেবে যে, আমি একজন যেন বারবার বহুজন হয়ে একবার বাসে একবার ট্রেনে আর একবার স্টিমার সকলের স্বজাতি হয়ে অম্লমধুর বিড়ম্বনা সহে ছুটে চলেছি নাড়ির টানে আমাদের জামালপুরের ইকবালপুর গ্রামে। সবধর্মের সব বৃহত্ ধর্মীয় উত্সব সবাইকে নাড়ির টানে বারবার গ্রাম-গঞ্জে শহরে টানুক সকলের মাঝে হূদয়ের বন্ধন, ধর্মমত নির্বিশেষে অটুট থাকুন তা কামনা করে পুরনো উর্দু ছায়াছবি বেদারির একটি হূদয় ছুঁয়ে যাওয়া গ্রাম নিয়ে লেখা গানের কলি গুন গুন করে গাইছে- চল চল মা স্বপ্ন কি গাওমে। পুলকি ছাওনে...। বাংলায় বলা যায় মা চলো আমরা আমাদের স্বপ্নের গ্রামে চলে যাই, যেখানে ফুলের ছায়া আছে, যেখানে শহরের মতো কাঁটার জ্বালা নেই। আহা আমাদের গ্রামগুলো কি বর্তমানে গানের এই কলির মতো আছে?
মোহাম্মদ লুত্ফুর রহমান
এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা 


গ্রামের অনেক মানুষ কর্মের প্রয়োজনে ঢাকা-চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন শহরে অবস্থান করে। আবার অনেক শহুরে মানুষ কর্মপ্রয়োজনে গ্রামে অবস্থান করে। অনেকের পরিবার পরিজন সাথে থাকলেও অনেকের পরিবার-পরিজন গ্রামে কিংবা শহরে থেকে যায়। যাদের পরিবার পরিজন কর্মস্থলে কিংবা সাথে থাকে না তারা একপ্রকার উদগ্রীবই থাকেন। তাদের পরিবার-পরিজনের সাথে ঈদের আনন্দ ভাগ করার জন্য। আবার যাদের পরিবার পরিজন সাথে থাকে তারাও সীমাহীন উদগ্রীব থাকে ঈদের সময় গ্রামীণ কিংবা শহুরে আত্মীয়স্বজন, বন্ধু-বান্ধবদের সাথে ঈদ উপভোগ করার জন্য। তাই মনের আনন্দে ব্যাকুল থাকে কবে বাড়ি ফেরা যাবে- কবে ছুটি হবে। কবে ট্রেন বা বাস কিংবা লঞ্চের টিকেট কাটবে। নিজের জন্মস্থান- হোক না সে অজপাড়াগাঁয়ে কিংবা অখ্যাত শহরে। নাড়ির টানে সে নিজের জন্মস্থানের জন্য সারাক্ষণ ব্যাকুল থাকবেই।
শাহ আলম খান সবল
বাঁশখালি, চট্টগ্রাম


ঈদে মানুষ ঘরে ফেরে। যারা ঘর ছেড়ে বাইরে আছেন কিংবা দেশের বাইরে আছেন তারা ঘরে ফেরে। পাখিরা যেমন সন্ধ্যা হলে কুলায় ফিরে যায় সেরকম ঘরে ফেরা নয় এদের। এরা অনেক দিন পর অনেক আনন্দ ভালবাসা নিয়ে যে যার মতো ঈদ করতে গ্রামে চলে যায়। এ যাওয়া যাতে সুন্দর হয়, আনন্দের হয় সে প্রত্যাশা আমাদের সকলের; কিন্তু দেশের অভ্যন্তরে এতোই বিপদসংকুল রাস্তা-ঘাট, এতোই যানজট যে শান্তি-সুখ প্রতিমুহূর্তে জলীয় বাষ্পের মতো উবে যায়। তবে হতাশায় ডুবে গেলে হবে না। আমাদের জীবন যাপন পদ্ধতি অবস্থা ভেদে অনেক এগিয়েছে এরই মধ্যে। এই ভাবনা থেকে বলছি, যে সব এলাকায় বিদ্যুত্ নেই সেখানে বিদ্যুতের ব্যবস্থা করা একান্ত প্রয়োজন। নদীগুলো হাজামজা হয়ে নৌচলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে, যা ড্রেজিং করা একান্ত প্রয়োজন। রাস্তাঘাট ভেঙে একাকার। এবার বর্ষার ধকলে কর্দমাক্ত হয়ে সেসব রাস্তা চলার উপযোগী নয়, তাই জরুরিভিত্তিতে ইট-শুরকি দিয়ে গ্রামের রাস্তাসমূহ পাকা করা প্রয়োজন। বলাই বাহুল্য, শহরের তুলনা গ্রামের অবস্থা অনেক করুণ, অনেক দুর্দশাগ্রস্ত। সেদিকে সকলের নজর দেয়া প্রয়োজন। আমরা যদি ইচ্ছা করি বিদেশে চাকরিরত মানুষ একত্রে মিলে অর্থ সাহায্য দিয়ে অনেক জনকল্যাণমুখী কাজ করতে পারি। এবার ঈদে বিদেশে চাকরিরতরা যার যার গ্রামের উন্নয়নের জন্য নিজের তহবিল থেকে চাঁদা দিয়ে রাস্তাঘাট মেরামত, দরিদ্র ছাত্রকে বৃত্তিদান অসহায় রোগীকে চিকিত্সার ব্যবস্থা করা, যার ঘর নেই তাকে ঘর নির্মাণ করে দেয়া একটি বড় ধরনের সেবামূলক কাজ হতে পারে এবার ঈদে। পাশাপাশি যারা গ্রামে যাবেন তাদের প্রতি অনুরোধ, পাখিরা খেতে পারে এমন সব ফলের গাছ এই বর্ষা মৌসুমে রোপণ করে আসবেন। পাখিদের খাবার নেই বলেই পাখিরা হারিয়ে যাচ্ছে। তাই আশা করছি, এবার ঈদে গ্রামে ফেরা মানুষের জন্য কল্যাণ বয়ে আনবে সেটাই প্রত্যাশা।

ওয়াহিদ মুরাদ
নেছারাবাদ, ফিরোজপুর


ঈদের সময় সাধারণত লম্বা ছুটি পাওয়া যায়। তাই পরিবার-পরিজনকে নিয়ে ঈদের সময় কাটাতে সবসময় চেষ্টা করি। নাড়ির টান থেকে এরকম হয়। তাই নিরাপদভাবে বাড়িতে যাওয়ার ব্যবস্থা যেন সুষ্ঠু ও সুন্দর হয় ও পথে যাতে কোন বাধা-বিঘ্ন না ঘটে সে ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি দেয়া উচিত।
মো. সাইফুল ইসলাম সবুজ
মধুপুর, টাঙ্গাইল


ঈদ সবার জন্য; কিন্তু নিম্নবিত্ত ও হতদরিদ্র যে ঈদ বাজারে প্রবেশ করতে পারছে না তার বড় কারণ তাদের আয়ের সঙ্গে ব্যয়ের বিশাল ব্যবধান। তারপরেও ঈদ সবার জন্য। ঐ এক ফালি চাঁদের যে অংশ তা সবার আনন্দের বার্তা। সেই বার্তা ছড়িয়ে দেয় সারা দেশে শহরে বন্দরে গ্রামে। মানুষ তাতে আনন্দে মেতে ওঠে এই ঈদে।
শিশির
আজিমপুর, ঢাকা


গ্রামের দিকে মানুষ ছুটছে শিকড়ের টানে। নাড়ির টানে। প্রকৃতি তাকে আর ধরে রাখতে পারবে না। শত বাধা-বিপত্তি অতিক্রম করে সবার মাঝে ঈদ আনন্দে শরিক হতে মানুষ ছুটছে। সে এক বড় আনন্দ।
জীবন
মগবাজার, ঢাকা


ঈদে মানুষ বাড়ি ফিরবে যে নিরাপদে সে উপায় নেই। ট্রেন বাসের টিকেটেও কোটা ফাঁদে এখন সাধারণ যাত্রী। মুখ চেনা লোকদের টিকেট দেয়া হচ্ছে। অথচ একজন সাধারণ মানুষ কিভাবে ঈদ করবে গ্রামের বাড়িতে গিয়ে? সে হতাশায় অনেকে। সুতরাং এ বিষয়টি সরকারকে দেখতে হবে।
আলমগীর
নিউমার্কেট, ঢাকা 

আসন্ন ঈদকে সামনে রেখে ঘরমুখো মনুষের বাড়ি ফেরা নিয়ে দেখা দিয়েছে নানা হয়রানি ও দুশ্চিন্তা। বিশেষ করে ঢাকা থেকে বের হওয়ার মুখে ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজটে পড়ে চরম দুর্ভোগে পড়তে হয় ঘরমুখো মানুষদের। বিশেষ করে ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে সংস্কারের কাজ চলায় বিভিন্ন স্থানে ছোট-বড় গর্তসহ খানাখন্দের কারণে যানজটে আটকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। এর মাঝে ঈদের আনন্দ ও ব্যাকুলতা নিয়ে তবুও মানুষ ছুটছে গ্রামের বাড়িতে।
মো. মেজবাহউদ্দিন সেলিম
শেওড়াপাড়া, মিরপুর


ঈদের আগে যানজট বেড়ে যাবার আশঙ্কা বেশি থাকে। কোন কোন স্থানে এখানে সেখানে নির্মাণসামগ্রীর স্তূপ ফেলে রাখায় যানবাহন চলাচলে প্রতিবন্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে। কোন কোন স্থানে অপরিকল্পিতভাবে দোকান, মার্কেট ও অন্যান্য স্থাপনা নির্মিত হওয়ায় যানজট লেগেই থাকে। এর মধ্যে থেকে সবকিছুকে উপেক্ষা করে নাড়ির টানে সবার সাথে ঈদের আনন্দ ভাগ করে নেয়ার ব্যাকুলতা।
আবদুল মালেক মিয়া
মিরপুর, ঢাকা ১২১৬


গ্রামের বাড়িতে ঈদের ছুটিতে যানবাহনের টিকেট পাওয়া এখন অনেকটাই আকাশের চাঁদ হাতে পাওয়ার মত সৌভাগ্যের বিষয়। শত কষ্ট স্বীকার করে হলেও শিকড়ের সন্ধানে ছুটে যায় সবার সাথে ঈদ করবে। তখন সমস্ত ব্যাকুলতা মন প্রাণ ছুঁয়ে যায়।
হোসনে আরা বেগম
এনায়েত গঞ্জ লেন, ঢাকা


বিশ্বের সকল দেশের মানুষ ধর্মীয় উত্সব আনন্দকে সবার সাথে ভাগ করে সুখ লাভ করার জন্য বাড়ির টানে ব্যাকুল হয়ে পড়ে। ছুটি ভোগ করতে গ্রাম কিংবা শহর দুটোই তাদের কাছে এক হয়ে যায়। যানজটের কবলে পড়ে শত কষ্ট ভোগান্তি উপেক্ষা করে আত্মীয় স্বজনদের সাথে আনন্দ উপভোগ করার অসম্ভব প্রয়োজনও অনুভব করে তারা। তাদের এই মনের আকুলতা ব্যাকুলতার এই বিষয়টি আবহমান কাল ধরে চলে আসছে। বাড়ির টানে বাড়ি ফেরার আনন্দকে কোন কষ্টই ম্লান করতে পারে না। সৃষ্টিকর্তার এটা একটা বিচিত্র লীলা, এর ধারা অব্যাহত আছে ও অনন্তকাল পর্যন্ত থাকবে।
শাহ মোহাম্মদ হেলালউদ্দিন হিরো
কালিহাতি, টাঙ্গাইল


ঈদে বাড়ি ফেরার ব্যাকুলতা সবার থাকে। তারা ঈদের ছুটির অপেক্ষায় প্রহর গুনতে থাকে কখন বাড়ি যাবেন। বাড়িতে আত্মীয় স্বজন, বন্ধ-বান্ধবের সাথে নাড়ির টানে ফিরতে চান। মনেপ্রাণে আকুলতা ও ব্যাকুলতার সীমা-পরিসীমা থাকে না। কিন্তু ঈদে ঘরমুখো মানুষকে প্রত্যেকবার টিকেট পেতে বিড়ম্বনার শিকার হতে হয়। টিকেটের অতিরিক্ত দাম, কালোবাজারি, হয়রানি ইত্যাদি প্রতিবারের অভিযোগ। সুতরাং বিষয়গুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া দরকার আগে থেকেই।
লাড্লা,
পিলখানা, ঢাকা


সড়ক পরিবহনে নৈরাজ্য, বিশৃঙ্খলা, চাঁদাবাজি, ফিটনেসবিহীন গাড়ি, বেপরোয়া গাড়ি চালানো ইত্যাদি বিদ্যমান ঈদের সময়ে। শত বাধা-বিপত্তি মাথায় নিয়ে মানুষ ছুটে যায় নাড়ির টানে বাড়িতে। সবার সাথে পরিবারে ঈদ আনন্দ করার মজাটাই অন্যরকম।
আইরিন সুলতানা সন্জু
ধুপপুর,
মাইজপাড়া, চট্টগ্রাম


ঈদের ছুটিতে সবার প্রাণ চঞ্চল গ্রামে যাবার। শত দরিদ্র হওয়া সত্ত্বেও ঈদে আনন্দ করার চেষ্টা করে। কোনরকম কাপড়েও ঈদের মাঠে সবার সাথে যায় নামাজ পড়তে। পরস্পর কোলাকুলি করে, মধ্যবিত্ত উচ্চবিত্তের সবাই সমান তালে। আত্মীয়-পরিজন নাড়ির টানে অনুভব ফিরে পান গ্রামে।
এম এম কে রাজা
টাইমস আই বেঙ্গলি,
মতিঝিল, ঢাকা



মূলপাতা

আন্তর্জাতিক

এক্সক্লুসিভ